ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে ৭ দিন থেকে ৪৫ দিন পর্যন্ত সময় লেগে থাকে। কিসের ভিত্তিতে সময় লাগে জানতে পোস্টটি শেষ অব্দি পড়ুন।

ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য ভুল থাকলে সংশোধন করার জন্য আবেদন করতে হয়। সংশোধন আবেদন করার আগে অনেকেই ভেবে থাকেন, সংশোধন হতে কতদিন সময় লাগবে। ক্যাটাগরিভেদে সংশোধন আবেদনে সময় লেগে থাকে। চলুন, আরও বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কতদিন লাগে

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে “ক” ক্যাটাগরির সংশোধনে ৭ দিন সময় লাগে, “খ” ক্যাটাগরির সংশোধনে ১৫ দিন সময় লাগে, “গ” ক্যাটাগরির সংশোধনে ৩০ দিন এবং “ঘ” ক্যাটাগরির সংশোধনে ৪৫ দিন সময় লাগে।

ভোটার আইডি কার্ডের ভুল তথ্য সংশোধন করার পর সংশোধনকে এসব ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়ে থাকে। আইডি কার্ডের তথ্য সংশোধনের সময় যেসব তথ্য সংশোধনের জন্য আবেদন করা হবে, সেসবের উপর ভিত্তি করে ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়ে থাকে।

এনআইডি কার্ডের তথ্য সংশোধন করার জন্য আবেদন করা হলে মোট ৪টি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়। এসব ক্যাটাগরির আবেদন অনুমোদন হতে কতদিন সময় লাগে তা একটি টেবিলে নিম্নে উল্লেখ করে দেয়া হয়েছে।

সংশোধনের ক্যাটাগরিকতদিন সময় লাগে
ক ক্যাটাগরি৭ দিন
খ ক্যাটাগরি১৫ দিন
গ ক্যাটাগরি৩০ দিন
ঘ ক্যাটাগরি৪৫ দিন

সংশোধন আবেদন করার পর যেসব তথ্য সংশোধন করা হবে, সেগুলো ভেরিফাই করা হয়। এজন্য, আবেদনটি NID Wing এ জমা হওয়ার পর তা নির্দিষ্ট অফিসারের নিকট জমা করা হয়। ভেরিফিকেশনের সময়ের উপর ভিত্তি করেই এই সময় লেগে থাকে।

এসব ক্যাটাগরিতে যেসব তথ্য সংশোধন করা হয়, সেগুলো নিচে উল্লেখ করে দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ, আপনার সংশোধন আবেদনটি কোন ক্যাটাগরিতে পড়বে তা নিচে থেকে জেনে নিতে পারবেন।

“ক” ক্যাটাগরির আবেদন

ভোটার আইডি কার্ডের যেসব তথ্য সংশোধনের জন্য আবেদন করা হলে “ক” ক্যাটাগরির অন্তর্ভুক্ত হবে তা নিম্নের তালিকাটি দেখলে বুঝতে পারবেন। নিম্নোক্ত তথ্যগুলো সংশোধনের জন্য আবেদন করা হলে “ক” ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হবে এবং আবেদনটি অনুমোদন হতে ৭ দিন সময় লাগবে।

  1. নামের আংশিক পরিবর্তন
  2. মোবাইল নাম্বার পরিবর্তন
  3. জন্ম তারিখ সংশোধন (সর্বোচ্চ ৩ বছর)
  4. বাংলা ও ইংরেজি নাম মিলকরণ
  5. রক্তের গ্রুপ সংশোধন
  6. ঠিকানা সংশোধন
  7. বৈবাহিক অবস্থা সংশোধন
  8. লিঙ্গ পরিবর্তন
  9. নামের বানান সংশোধন

“খ” ক্যাটাগরির আবেদন

নিম্নোক্ত তথ্যগুলো সংশোধনের জন্য আবেদন করা হলে আবেদনটি “খ” ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হবে। এই আবেদনটি অনুমোদন হতে ১৫ দিন সময় লাগবে। আবেদন করার পর আবেদনটি NID Wing এ জমা হবে। এরপর, ক্যাটাগরিতে ভাগ করে নির্দিষ্ট অফিসারের নিকট প্রেরণ করা হবে।

  1. ছবি, স্বাক্ষর, আঙ্গুলের ছাপ, আইরিশ আপডেট
  2. ধর্ম পরিবর্তন
  3. অসমর্থতা/প্রতিবন্ধীতা
  4. জন্ম তারিখ সংশোধন – সর্বোচ্চ
  5. স্বামী বা স্ত্রীর নাম সংযোজন/বিয়োজন

“গ” ক্যাটাগরির আবেদন

“গ” ক্যাটাগরির আবেদনের ক্ষেত্রে যেসব তথ্য সংশোধন করা হয় সেগুলো নিম্নরূপ। আপনি যদি নিম্নোক্ত তথ্যগুলো সংশোধনের জন্য আবেদন করেন তাহলে ৩০ দিন সময় লাগবে আবেদনটি অনুমোদন হতে।

  1. সম্পূর্ণ নাম পরিবর্তন (বোর্ড পরীক্ষার সনদপত্রের ভিত্তিতে)
  2. জন্ম তারিখ সংশোধন – ৫ বছরের বেশি (সরকারি অনুদানের ক্ষেত্র ব্যতীত।)

“ঘ” ক্যাটাগরির আবেদন

“ঘ” ক্যাটাগরির আবেদনের ভিতর নিম্নোক্ত তথ্যগুলো সংশোধন করা হয়। এসব তথ্য সংশোধন করার জন্য আবেদন করলে তা “ঘ” ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হবে এবং আবেদনটি অনুমোদন হতে ৪৫ দিন সময় লাগবে।

  1. জন্ম তারিখ সংশোধন — (বিভিন্ন সরকারি অনুদানের ক্ষেত্রে)
  2. সম্পূর্ণ নাম পরিবর্তন (বোর্ড পরীক্ষার সনদপত্র ছাড়া অন্য কাগজপত্রের ভিত্তিতে)

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কতদিন সময় লাগে তা এ পোস্টে বিস্তারিত উল্লেখ করে দেয়া হয়েছে। সংশোধন আবেদন করার পর সংশোধনের তথ্যের ভিত্তিতে ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়। এরপর, ক্যাটাগরিভেদে বিভিন্ন অফিসারের নিকট আবেদনটি প্রেরণ করা হয়।

উক্ত অফিসার সকল তথ্য যাচাই-বাছাই করে এরপর আবেদনটি অনুমোদন করে থাকে। যাচাই-বাছাই করতে ক্যাটাগরিভেদে ভিন্ন সময় লেগে থাকে। তবে, সঠিক তথ্য প্রদান করে আবেদন করলে নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বে আবেদন অনুমোদন হয়ে যায়।

অন্যান্য পোস্টগুলো

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *